ক্লাউড কম্পিউটিং কি এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলি কি কি?
ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে বুঝি -
ইন্টানেটের মাধ্যমে অনলাইনে সার্ভারের অংশবিশেষ ভাড়া নিয়ে তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করাই হল ক্লাউড কম্পিউটিং। ইহা একটি ইন্টারনেট পরিষেবা।
ক্লাউড কম্পিউটিং |
ব্যাখ্যা
ইন্টানেটের মাধ্যমে কম্পিউটার, সফটওয়ার ও ডেটা স্টোরেজ সহজে, ক্রেতার সুবিধামতো, চাহিবামাত্র এবং ব্যবহার অনুযায়ী ভাড়া দেওয়ার সিস্টেমই হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাহায্যে কিছু গ্লোবাল সুবিধাভোগ করা যায়। এটি একটি অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ পরিষেবা। এখানে ক্লাউড বলতে মেঘের মতো দুরবর্তী কোন শক্তিশালী সার্ভার কম্পিউটারকে বুঝানো হয়। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হয়ে নিজস্ব হার্ডওয়ার ব্যবহার করে ক্লাউড প্রদত্ত সেবা সমূহ ভোগ করা যায়।
ক্লাউড কম্পিউটিং এ ৩টি বৈশিষ্ট্য থাকবে। যথা-
১. রিসোর্স স্কেলেবিলিটি
ছোট বা বড় যাই হোক, ক্রেতার সব ধরনের চাহিদাই মেটানো হবে। ক্রেতা যত চাইবে সেবা দাতা তার চেয়েও অধিক পরিমান সেবা দিতে পারবে।
২. অন ডিমান্ড
ক্রেতা যখন চাইবে তখনই সেবা দিতে পারবে। ক্রেতা ইচ্ছেমতো যখন খুশি তার চাহিদা কমাতে বা বাড়াতে পারবে।
৩. পে-অ্যাজ-ইউ-গো
ইহা একটি পেমেন্ট মডেল। ক্রেতাকে আগে থেকে কোন সার্ভিস রিজার্ভ করতে হবে না। ক্রেতা যা ব্যবহার করবে কেবল তার জন্যই পেমেন্ট দিবে।।
সেবার ধরণ অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিংকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. অবকঠামোগত সেবা
এই ধরনের সেবায় ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের অবকাঠামো অর্থাৎ নেটওয়ার্ক, সিপিইউ, স্টোরেজ ও অন্যান্য কম্পিউটার রিসোর্স ভাড়া দেয়। এসব মেশিনে ক্লায়েন্ট নিজের ইচ্ছামত সফটওয়ার চালাতে পারে।
২. প্লাটফর্ম ভিত্তিক সেবা
এই ধরনের সেবায় ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সরাসরি ভার্চুয়াল মেশিন ভাড়া না দিয়ে প্লাটফর্ম ভাড়া দেয়। যার উপর ব্যবহারকারী বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে। যেমন অপািেটং সিস্টেম, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেজ ইত্যাদি ভাড়া দেয়।
৩. সফটওয়ার সেবা
এই ধরনের সেবায় ব্যবহারকারীর ক্লাউড প্লাটফর্মে নির্বাহ হয় এরুপ রেডিমেটেড সফটওয়ার ভাড়া দেয়। যেমন ডেটাবেজ, বিভিন্ন ধরনের এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়ার ইত্যাদি ভাড়া নিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে চালাতে পারেন।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এ ক্লাউড সাধারণত ৪ ধরনের হয়ে থাকে :
১. পাবলিক ক্লাউড
এ ধরনের ক্লাউড যে কেউ যে কোন স্থান থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে।
২. প্রাইভেট ক্লাউড
প্রাইভেট ক্লাউড নির্দিষ্ট গ্রুপ বা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে থাকে।
৩. কমিউনিটি ক্লাউড
কমিউনিটি বা দল ক্লাউড দুই বা দুইয়ের অধিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে থাকে।
৪. হাইব্রিড ক্লাউড
পাবলিক, প্রাইভেট বা দল ক্লাউডের সমন্বয়ে গঠিত ক্লাউডকে হাইব্রিড ক্লাউড বলে।
ক্লাউড কম্পউটিং এর সুবিধা
১. সহজেই বিশ্বের অত্যাধুনিক হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার ব্যবহার করা যায়। নিজস্ব হার্ডওয়ার বা সফটওয়ার প্রয়োজন হয় না।
২.
ব্যবহারকারী যতটুকু ব্যবহার করবেন ঠিক ততটুকুর জন্য মূল্য পরিশোধ করবেন। বাড়তি খরচের প্রয়োজন হয় না।
৩. ডেটা নষ্ট হওয়া, চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই তাই এতে সংরক্ষিত ডেটা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
৪. এই ব্যবস্থায় স্টোরেজ নিয়ে কোন চিন্তা নেই। যখন যত দরকার সুলভ মূল্যে চাহিদা অনুযায়ী স্টোরেজ সুবিধা পাওয়া যায়।
৫. বিশ্বের যেকোন স্থানে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আপলোড বা ডাউলেড করা যায়।
৬. হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার রক্ষণাবেক্ষণ ঝামেলা নেই।
ক্লাউড কম্পউটিং এর অসুবিধা
১. ডেটা, তথ্য বা এ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদির উপর ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রন থাকে না।
২.
ক্লাউডে তথ্য পাঠিয়ে দেয়ার পর তা কোথায় সংরক্ষণ হচ্ছে বা কিভাবে প্রসেসিং হচ্ছে তা জানার কোন উপায় থাকে না।
৩.
ক্লাউড কম্পিউটিং এ তথ্যের গোপনীতা ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে। তথ্য পাল্টিয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
HSC ICT এর প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যয়ের সব প্রশ্নের উত্তর এখানে
রোবটিকস বা রোবট কি?রোবটের গঠনগত উপাদানসমূহ কি কি?
ই-হেলথ কী? টেলিমেডিসিন একটি সেবা আলোচানা কর।
জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির
তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের নৈতিকতাগুলি কি কি?
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কাকে বলে?
দুরশিক্ষণ বা ডিসট্যান্স লার্নিং
টেলি কনফারেন্স ও ভিডিও কনফারেন্স কী?
জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির
ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেম কাকে বলে?
সাধারণত রোমিং বলতে আমরা কি বুঝি?
Bluetooth কী? ব্লুটুথ এর বৈশিষ্ট্য লিখ
তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের নৈতিকতাগুলি কি কি?
ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি?
No comments
Don't share any link