বায়োমেট্রিক পদ্ধতি আসলে কি? What are the types of biometrics? How many types of biometrics are there?

 

বায়োমেট্রিক পদ্ধতি আসলে কি এবং কাকে বলে?

What are the types of biometrics?

 বায়োমেট্রিক্স: বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে মানব দেহের গঠনগত বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করে ব্যাক্তিকে অদ্বিতীয় ভাবে সনাক্ত করা।

ব্যাখ্যা:

 বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি: গ্রিক শব্দ bio  অর্থ জীব ও matric  অর্থ পরিমাপ।  বায়োমেট্রিক্স শব্দের শব্দগত অর্থ জীবের পরিমাপ। এ পদ্ধতিতে প্রথম পর্যায়ে কোন নির্দিষ্ট ব্যাক্তির দেহের গঠনগত বা আচরণগত এক বা একাধিক অদ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য স্ক্যান করে কেন্দ্রীয় ডেটাবেজে তার প্রোফাইলে সংরক্ষণ করে রাখা হয় যাকে ব্যাক্তি সনাক্তকরণ বলে। এরপর ভেরিফিকেশনের সময় উক্ত ব্যাক্তির বর্তমানের স্ক্যানকৃত বায়োমেট্রিক ডেটার সাথে পূর্বে কেন্দ্রীয় ডেটাবেজে সংরক্ষিত বায়োমেট্রিক ডেটা মিলিয়ে দেখা হয় যাকে ঐ ব্যাক্তির সত্যাসত্য নির্ধারণ বলে। যদি উভয় ডেটা সম্পুর্ণ মিলে যায় তবে উক্ত ব্যাক্তিকে চিহ্নিত করতে পারে।

বায়োমেট্রিক্সকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা

(ক) গঠনগত বৈশিষ্ট্য    

(খ) আচরণগত বৈশিষ্ট্য

 

(ক) গঠনগত বৈশিষ্ট্যের পদ্ধতিসমূহ:

ফিংগার প্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ : বিশ্বের প্রতিটি মানুষের আঙ্গুলের ছাপ অন্য মানুষের আঙ্গুলের ছাপ থেকে পৃথক হয়। এই বেশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে ফিংগার প্রিন্ট রিডারের সাহায্যে একজন ব্যাক্তির হাতের আঙ্গুলের ছাপ স্ক্যান করে ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়। 

ফিংগার প্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ

পরবর্তিতে যখন একই ব্যাক্তি ফিংগার প্রিন্টার রিডারে আঙ্গুল রাখে তখন আঙ্গুলের নীচের ছাপকে ডিজিটাল ফর্মে রুপান্তর করে এবং ম্যাচিং পয়েন্ট গুলিকে তুলনা করে ঐ ব্যাক্তিকে সনাক্ত করে। এটি একটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। জাতীয় পরিচয় পত্রে, পাসপোর্ট, ভিসা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোবাইল সিম ক্রয়, প্রতিষ্ঠান বা বাড়ির নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কাজ ইত্যাদি কাজে আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করা হয়।

 

ফেস রিকোগনেশন বা মুখমন্ডল সনাক্তকরণ: কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষের চেহারা সনাক্তকরণের প্রয়োজন হয়। যেমন- সন্ত্রাসী, জেল পলাতক আসামী সনাক্তকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুখাবয়ব ম্যাচিং করার প্রয়োজন হয়। 

ফেস রিকোগনেশন বা মুখমন্ডল সনাক্তকরণ

এ পদ্ধতিতে মানুষের মুখের ছবি কম্পিউটার ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা থাকে। কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে সনাক্তকরণের জন্য স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ইত্যাদির মাধ্যমে ছবি সংগ্রহ করে ফেস ডিটেকশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে সনাক্ত করা যায়।তবে এই প্রযুক্তি আলোর পার্থক্যের কারনে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়।

 

হ্যান্ড জিওমেট্রি বা হাতের ছাপঃ হাতের গঠন , রেখা এবং আঙুলের দৈঘ্যের পরিমাপ বিশ্লেষণ করে ব্যাক্তি সনাক্তকরণ করা হয়। এক্ষেত্রে সনাক্তকরণ ফলাফল ফিঙ্গার প্রিন্টের মত সুক্ষ্ম হয় না। তাছাড়া এই ডিভাইসের দামও তুলনামূলক বেশি।

আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান: আইরিস স্কেনিং হল মানুষের চোখের পিউপিলের চারপাশে কিছু রঙিন কোষ থাকে যা একটি মানুষকে আলাদাভাবে সনাক্ত (Identify)  করা যায়। 

আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান

এক্ষেত্রে বিশেষ ক্যামেরার মাধ্যমে আগেই আইরিশ স্ক্যানিং এর চিত্র কম্পিউটারের ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা হয় এবং পরবর্তীতে সংরক্ষিত চিত্রের সাথে নতুন চিত্রের তুলনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়। এবং রেটিনা স্কেনিং হল মানুষের চোখের রেটিনা এবং রক্তনালী বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে সনাক্ত করা যায়। এক্ষেত্রে কম ঘনত্বের আলো এবং অপটিক্যাল ডপলার ব্যবহার করা

ডিএনএ (DNA) প্রতিটি মানুষের পৃথক বৈশিষ্ট্য বহন করে উঘঅ । উঘঅ-এর আকৃতি, গঠন ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে একজন মানুষের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

 

 (খ) আচরণগত বৈশিষ্ট্যের পদ্ধতিসমূহঃ

ভয়েস রিকোগনেশন বা কন্ঠস্বর সনাক্তকরণ: মানুষের ভয়েসকে টেক্সট বা লেখায় পরিণত করাকে ভয়েস সনাক্তকরণ বলা হয়। প্রত্যেক মানুষের কণ্ঠের ধ্বনির বৈশিষ্ট্য, সুরের মূর্চ্ছনা, স্পন্দনের দ্রুততা ইত্যাদি বিশ্লেষণ করা হয়। এক্ষেত্রে মানুষ ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ ব্যবহারের মাধ্যমে কম্পিউটারকে নির্দেশ প্রদান করতে পারে।

স্বাক্ষর সনাক্তকরণ: ব্যবহারিক জীবনে অনেক কাজে আমরা স্বাক্ষর ব্যবহার করে থাকি। যেমন- অ্যাপ্লিকেশন, সার্টিফিকেট, চেক ইত্যাদি। এই হাতে লেখা স্বাক্ষরকে কম্পিউটারের মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়। এক্ষেত্রে Pattern Matching অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ডেটাবেজে আগে থেকে সংরক্ষিত স্বাক্ষরের ইমেজের সাথে তুলনা করে সনাক্ত করা হয়।

ট্ইাপিং কীস্ট্রোক: ব্যবহারকারীর টাইপিং গতি, চাপ, সময়ের পরিমান ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে ব্যাক্তি সনাক্তকরণ করার পদ্ধতি।

 

wdsMvi wcÖ‡›Ui myweav	‡iwUbv ¯‹¨v‡bi myweav	f‡qm wi‡KvM‡bk‡bi myweav	‡dmwi‡KvM‡bk‡bi myweav
1.GB c×wZ mn‡R Ges mK‡ji Rb¨ e¨envi myweavRbK 2. GB c×wZe¨env‡i LiP Zzjbvg~jK Kg| 3. GB c×wZ‡Z mgq Kg jv‡M| 4.mdjZvi cwigvb cÖvq kZfvM 5. GB c×wZ‡Z ev‡qv‡gwUªK h‡š¿i `vg Zzjbvg~jK Kg|	1. gvby‡li †Pv‡Li AvBwim n‡jv GKwU Av`k© AsM hv ¯^”Q c`v_© Øviv Av”Qvw`Z _v‡K, d‡j Gi †Kvb ÿq †bB| GwU GKwU  D”P wbivcËvg~jK mbv³KiY e¨e¯’v hv ¯’vqx| 2. mbv³Ki‡Y LyeKg mgq cª‡qvRb nq| 3. mbv³Ki‡Y djvd‡ji my²Zv nv‡Zi Qvc ev wdsMviwcÖ›U A‡cÿv A‡bK †ewk|	1.GB c×wZ mn‡R Ges Kg Li‡P ev¯Íevqb‡hvM¨ 2. GB c×wZ mvgvwRKfv‡e A‡bK †ewk MÖnb‡hvM¨	1. GB c×wZ mn‡R e¨envi‡hvM¨ 2. mwVK djvdj cvIqv hvq|
wdsMvi wcÖ‡›Ui Amyweav	‡iwUbv ¯‹¨v‡bi Amyweav	f‡qm wi‡KvM‡bk‡bi Amyweav	‡dmwi‡KvM‡bk‡bi Amyweav
1.ﮋZv. AvOz‡j gqjv  ev †Kvb cÖKvi Av¯Íi jvMv‡bv _vK‡j mwVKfv‡e mbv³KiY nq bv| 2. †QvU ev”Pv‡`i Rb¨ GB cÖhyw³ Dchy³ bq KviY ev”Pv‡`iAvO‡ji Qvc `ªæZe„w×RwbZ cwieZ©b nq|	1. GB c×wZ AZ¨šÍ e¨vqeûj 2. Zzjbvg~jK †ewk †g‡gvwi cÖ‡qvRb nq| 3. GB c×wZi Rb¨ Pkgv †Lvjvi cÖ‡qvRb nq| 4. A‡b‡K g‡b K‡i GB c×wZ‡Z †Pv‡Li ÿwZ nq|	1. GB c×wZi my²Zv Zzjbvg~jK Kg| 2. VvÛv, mw`©, Kvwk BZ¨vw`i d‡j KÚ cwieZ©b n‡j GB c×wZ‡Z mwVK djvdj cvIq hvq bv| 3. †h †KD B”Qv Ki‡j KÚ¯^i bKj Ki‡Z cv‡i|	1. K¨v‡giv Qvov GB c×wZ e¨envi Kiv hvq bv| 2. K¨v‡givi jvB‡Ui cv_©‡K¨i Kvi‡b A‡bK †ÿ‡Î RwUjZv m„wó nq| 3. Pz‡ji ÷vBj cwieZ©b, †gKAvc cwieZ©b, Mnbv e¨envi BZ¨vw` Kvi‡b mwVK djvdj cvIqv hvq bv|

 

আরো বিষয়ে  জানুন

মডেম এর প্রকার ও  ডেটা প্রেরণে মডেমের ব্যবহার 

মোবাইল বা সেলুলার টেলিফোন প্রযুক্তির প্রজন্মগুলির বৈশিষ্ট্য

জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির

তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের নৈতিকতাগুলি কি কি?

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কী?

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কাকে বলে?

দুরশিক্ষণ বা ডিসট্যান্স লার্নিং 

ন্যানো টেকনোলজি বলতে কি বুঝ? 

টেলি কনফারেন্স ও ভিডিও কনফারেন্স কী?

 ওয়াইফাই এর পূর্ণরূপ কি

ই-কমার্স কি? 

ই মেইল কী?

স্মার্ট হোম এর সুবিধাগুলো কি?

জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির

ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেম কাকে বলে? 

বায়োইনফরমেট্রিক্স কি

সাধারণত রোমিং বলতে আমরা কি বুঝি?

Bluetooth কী? ব্লুটুথ এর বৈশিষ্ট্য লিখ

তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের নৈতিকতাগুলি কি কি?

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি?

ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড কি?