বায়োইনফরমেট্রিক্স (Bioinformatic)

 

বায়োইনফরমেট্রিক্স সম্পর্কে আলোচনা কর।

Bioinformatics 



বায়োইনফরমেট্রিক্স জীব সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজে কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রয়োগই হলো বায়োইনফরমেট্রিক্স বা জৈবতথ্যবিজ্ঞান। বায়োইনফরমেট্রিক্স এমন একটি প্রযুক্তি যা দ্বারা ফলিত গণিত, তথ্যবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, কম্পিউটারবিজ্ঞান, কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা, রসায়ন ও জৈব রসায়ন ব্যবহার করে জীববিজ্ঞানের সমস্যাসমূহ সমাধান করা হয়।

ব্যাখ্যাঃ কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে জীববিজ্ঞানের সমস্যাগুলো যেমন জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ, জৈবিক ও জেনেটিক তথ্য একত্রিকরণ, জীন ভিত্তিক ঔষধ আবিষ্কার ইত্যাদি সমস্যার যখন সমাধান করা হয় তখন তাকে বায়োইনফরমেট্রিক্স বলে। আরে যখন জৈব তথ্য নিয়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে গবেষণা করা হয় তখন তাকে ড্রাই ল্যাব বলে। এজন্য ব্যবহৃত সফটওয়ার টুলসগুলো c, cpp, python, java, c#, XML, Perl, R, SQL, MATHLAB ইত্যাদি।

বায়োইনফরমেট্রিক্স এর ব্যবহারঃ

১.প্রোটিন গবেষণার, মলিকুলার বায়োলজিতে, প্যাটার্ন রিকোগনেশন, ডেটা মাইনিং, ম্যাপিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

২.মেডিসিন তৈরিতে ড্রাগ ডিজাইন ক্ষেত্রে, জীবানু অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

৩.ক্যামিকেল রিঅ্যাকশন স্ট্রাকচার এবং এক ক্যামিকেলের সাথে অন্য ক্যামিকেলের সংযোগ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়।

৪.জিন থেরাপি, জিন নিয়ে গবেষণা, জিনের সংখ্যা উদঘাটন, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহার করা হয়।

 

বায়োইনফরম্যাটিক্স-এর সুবিধা:

১.জীববিদ্যার ঊ-ষরনৎধৎু তৈরিতে বায়োইনফরমেটিক্স বিশেষ সুবিধা প্রদান করে।

২.মলিকিউলার বায়োলজীর (আণবিক জীবদ্যিা) সাথে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে নতুন নতুন ধারণা প্রদান করে। 

৩.মলিকিউলার জেনেটিক্সকে দৃশ্যমানভাবে বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।

৪.জীনের বিভিন্ন প্যাটার্ন রিকোগনাইশনে সহায়তা প্রদান করে।

৫.অ্যালগোরিদমিক ডাটা মাইনিংয়ে বা সংগ্রহে সহায়তা প্রদান করে।

 

বায়োইনফরম্যাটিক্স-এর অসুবিধা

১.বায়োইনফরম্যাটিক্সে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যয়বহুল এবং বায়োইনফরম্যাটিক্স সম্পর্কিত বিষয়সমূহ অত্যন্ত জটিল ।

২.ব্যক্তিগত বায়োইনফরম্যাটিক্স ব্যবহার করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না।

No comments

Don't share any link

Theme images by rusm. Powered by Blogger.