রোবটিকস বা রোবট কি?রোবটের গঠনগত উপাদানসমূহ কি কি? What about Robot? How does it work?
রোবটিকস বা রোবট
সম্পর্কে আলোচনা কর।
রোবট কি? |
রোবটিকস বা রোবটঃ রোবট
হচ্ছে কম্পিউটার দ্বারা পরিচালিত প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত স্বয়য়ংক্রিয় ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র
যা দেখতে অনেকটা মানব সদৃশ। তাই বলা যায় রোবট হল প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
সম্পন্ন যন্ত্র মানব।
ব্যাখ্যাঃ Robotics হল প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি যন্ত্র হল রোবট যা প্রকৌশল বিজ্ঞানের একটি শাখা ।রোবট শব্দটির উৎপত্তি চেক শব্দ ‘রোবোটা’ থেকে, যার অর্থ ফোরসড লেবার বা মানুষের দাসত্ব কিংবা একঘেয়েমি খাটুনি বা পরিশ্রম করতে পারে এমন যন্ত্র। রোবট অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এবং ক্লান্তিহীনভাবে পূর্বলিখিত প্রোগ্রামের ভিত্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে নির্দেশনা রোবটের মেমোরিতে তৈরী করে দিতে হয়। যেসকল কাজ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় সেখানে রোবটকে কাজে লাগানো হয়। অধিক তাপ, অধিক ঠান্ডা, অতি সুক্ষ্ম কাজ, অতি বিপজ্জনক জায়গায় পৌছানো ইত্যাদি রোবট দ্বারা করানো হয়। দিন দিন রোবটকে আরও উন্নত করার চিন্তাভাবনা চলছে যাতে এটি মানুষের বিকল্প হতে পারে।
রোবট কি মানুষের কাজের জায়গা দখল করে নেবে |
রোবটের গঠনগত উপাদানসমূহ
১) পওয়ার সিস্টেমঃ সাধারনত:
রিচার্জেবল ব্যাটারী দিয়ে রোবটের পাওয়ার দেয়া হয়।
২) অ্যাকচুয়েটরঃ রোবটের
হত-পা নড়াচড়ার জন্য কতকগুলো বৈদ্যুতিক মোটরের ব্যবস্থা থাকে। একে রোবটের হাত পায়ের
পেশী বলে।
৩) প্রোগ্রামকৃত
মস্তিষ্ক বা প্রসেসরঃ রোবটের মধ্যে এক বা একাধিক প্রসেসর থাকেযাতে
রোবটকে কেনিদ্রয়ভাবে নিয়ন্ত্রন করার প্রোগ্রাম থাকে।
৪) অনুভুতিঃ সেন্সরের
মাধ্যমে রোবটে মানুষের মত অনুভুতি তৈরি করা হয়। রোবটের হাত ও পায়ের যে কোন জায়গা স্পর্শ
করলে সেই জায়গা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। চোখের ক্যমেরা দিয়ে সামনে
পিছনে দৃশ্য নেওয়া হয়।
৫) ম্যানিপুলেশন
বা পরিবর্তন করাঃ রোবটের আশেপাশের বস্তুগুলোর অবস্থান পরিবর্তন করার জন্য
রোববেটের হাতে কতকগুলি আঙুল থাকে যা নড়াচড়া করে কোন বস্তু ধরতে পারে।
৬) মুভেবল বডি: রোবটের
চাকা, যান্ত্রিক সংযোগ সম্পন্ন পা এবং স্থানান্তর করা যায় এমন যন্ত্রপাতি যুক্ত থাকে।
রোবটের ব্যবহার
১) গৃহস্থালী কাজকর্মে: রোবটের
মেমোরিতে সংরক্ষিত নির্দেশ মোতাবেক হাঁটতে পারে, অনেক ক্ষেত্রে মানুষের সংগে ভাব বিনিময়
করতে পারে, ঘরের কাজকর্ম যেমন, চা-কফি তৈরী, ঘর পরিষ্কার, কাপড় পরিষ্কার, দরজা খোলা
ইত্যাদি কাজ করতে পারে।
২) চিকিৎসাক্ষেত্রে: চিকিৎসাক্ষেত্রে জটিল সব অপারেশন কাজে রোবটকে সফলভাবে
ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে। এমনকি হার্টের ভিতর ক্ষুদ্র রোবট ঢুকিয়ে হার্টের ব্লক অপারেশন
করা হচ্ছে।
৩) বিপজ্জনক কাজে: অধিক
তাপ, অধিক ঠান্ডা, নানারকম বিপজ্জনক ও পরিশ্রমসাধ্য কাজ যেমন- ওয়েল্ডিং, ঢালাই, ভারী
মাল ওঠানামা করানো ইত্যাদি যা মানুষের দ্বারা সম্ভব হয় না তা রোবটকে দিয়ে করানো হচ্ছে।
৪) ঝুঁকিপূর্ণ কাজে: পারমানবিক
কেন্দ্রের ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ন কাজে, শিল্প কারখানার কাজে, যুদ্ধক্ষেত্রে পাইলট বা
ড্রইভারের বিকল্প হিসেবে, ট্রাফিক ব্যবস্থায়, পুলিশের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে, মহাকাশ
অভিযানে রোবট ব্যবহার হচ্ছে এবং যা মানুষের চেয়েও দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করছে।
৫) পরিবহন কাজে:
বিভিন্ন শিল্পকারখানায় জিনিসপত্র ওঠানামা বা পরিবহন যেখানে
মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না সেখনে রোবট ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে গাড়ী বা যানবাহন তৈরি
কারখানায়।
৬) অতি সুক্ষ্ম কাজে:
অতিক্ষুদ্র মাইক্রোচিপস তৈরী ও পরীক্ষা, অতি সুক্ষ্ম যন্ত্রপাতি
তৈরীতে রোবট ব্যবহার হচ্ছে।
Do you tell me what is e Commerce
ReplyDeleteYou can go my site and will be able to know about it
ReplyDeletewww.digitallearning2000.blogspot.com